করদাতারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে না পারলেও পরবর্তীতে বছরের যেকোনো সময়ে জরিমানা ও সুদ পরিশোধ করে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। করদাতাদের হয়রানি কমানোর লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তারা।
এক্ষেত্রে রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য ডিসিটির (ডেপুটি কমিশনার অব ট্যাক্সেস) কাছে সময় বাড়ানোর আবেদনও করা লাগবে না।
দেশে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা বাড়লেও এরসঙ্গে ট্যাক্স রিটার্ন জমার সংখ্যা প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না।
২০২২ সালের বাজেটে সরকার ৩৮ ধরনের সেবা গ্রহণকালে ‘এনবিআর প্রুপ অব সাবমিশন অব রিটার্ন’ বাধ্যতামূল করেছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, এতে রিটার্ন জমায় ব্যাপক সাড়া মিলবে, কিন্তু বাস্ততে তা হয়নি।
এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে টিআইএন হোল্ডারের সংখ্যা ৯০ লাখ। গত বছর ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিয়েছে ৩২ লাখের মত; এরমধ্যে সময়ের আবেদন করেছেন প্রায় ৩ লাখ করদাতা।
তবে অনেকে মনে করেন “বাধ্যবাধকতার মধ্যে না রাখলে করদাতাদের মধ্যে রিটার্ন জমার আগ্রহেও ভাটা পড়তে পারে।